লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়ক জুড়ে হাট বসায় কয়েকটি হাটের কারণে সপ্তাহের কয়েকদিন জনগণের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। অপচয় হয় জনগণের মূল্যবান সময়।
লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ জাতীয় মহাসড়ক সংলগ্ন গড়ে উঠা হাটগুলো বিভিন্ন বারে নির্দিষ্ট সীমা লংঘন করে জাতীয় মহাসড়ক জুড়ে দোকান-পাট বসায় দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা জনগণের ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না কিছুতেই। সপ্তাহে ২দিন বসে। মাঝে মাঝে দায়সারা অভিযানে নামে সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু নিমিষেই ফুরিয়ে যায় তার ফলাফল। হাট সংশ্লিষ্টদের কোন উদ্যোগই কাজে আসছে না।
জানা যায়, জাতীয় মহাসড়ক সংলগ্ন হাটগুলো হাটের সীমানা ছেড়ে জাতীয় মহাসড়ক ঘিরে বসে হাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে সৃষ্টি হয় যানজট। প্রতি হাটবারে হাট এলাকার সড়ক অতিক্রম করতে যানবাহনের সময় লাগে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গুন বেশি। হাটগুলোতে জাতীয় মহাসড়ক জুড়ে বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক, নসিমন, করিমন, ট্রাক্টর, অটোবাইক, ইজিবাইক, অটোরিক্সা, ভ্যান জাতীয় সড়কের অংশবিশেষ দখল করে দন্ডায়মান থাকে, আবার কোনো সময় দ্রব্যসামগ্রী লোড-আনলোড করে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। হাটবারে শিক্ষার্থীরা চলাচলে বিপাকে পড়ে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যানজটপূর্ণ সড়কে হাটতে পারে না। আবার চালক শ্রমিকদের দ্বারা ছাত্রীরা নানাভাবে নাজেহাল হয়।
আরও জানা গেছে, কয়েকটি হাটের হাট বারে বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। কোন ভাবেই এর স্থায়ী কোন প্রতিকার হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং হাইওয়ে পুলিশ অভিযানে নামে কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এক হাট পরেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। তাই জাতীয় মহাসড়ক দখল করে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তথা এই বিড়ম্বনার স্থায়ী সমাধান চান সাধারণ মানুষ।